আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘সরকারের এখন লক্ষ্য হলো কৃষির প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করে কৃষিকে লাভজনক করা। এজন্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি আরও বাড়াতে হবে। প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন ও উদ্যোক্তাদের আরও কীভাবে সহায়তা দেয়া যায়, সেটা আমরা চিন্তা করছি।’
রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে ‘শাকসবজি ও ফল রপ্তানিকারকদের’ সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাকবলেন, উৎপাদিত কৃষিপণ্য দেশীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে কীভাবে যেতে পারে, সরকার এর ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। সেজন্য, যারা রপ্তানির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং মান উন্নয়নে কাজ করছে তাদেরকে সর্বাত্নক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কৃষির গুরুত্ব অনেক বেশি। কৃষি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। একই সাথে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামালেরও যোগান দিয়ে থাকে। এ কাঁচামাল যোগান দিয়ে আমরা যে প্রক্রিয়াজাত পণ্য পাচ্ছি সেটা বিদেশে রপ্তানিরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এখনো আমাদের রপ্তানিটা বেশির ভাগ তৈরি পোশাকের মধ্যে সীমিত।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘প্রায় শতকরা ৮০-৮৪ ভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। তার সাথে সাথে কৃষি একটি সম্ভাবনাময় সেক্টর। আমরা যদি প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে পারি এবং নিরাপদ সবজি ও ফলের নিশ্চয়তা দিতে পারি, তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারেও কৃষিপণ্য রপ্তানি করতে পারব।’
আরও পড়ুন: ফুল চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
সভায় বক্তারা কৃষিপণ্য রপ্তানিতে করণীয় বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদারের সঞ্চালনায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ইউসুফ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের পরিচালক মোহম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ এসিআই, প্রাণ-আরএফএল এবং সবজি ও ফল রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের নেতারা বক্তব্য দেন।